ইসলামিক রাষ্ট্র নিয়ে উক্তি করার আগে ইসলাম সম্পর্কে জানতে হবে। ইসলামিক রাষ্ট্র শুধু একটি শাসনব্যবস্থা নয়, বরং এটি একটি সুশৃঙ্খল ও কল্যাণমুখী সমাজ গঠনের একটি উপায়। এই রাষ্ট্রব্যবস্থা কোনো একনায়কতন্ত্রের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে না, বরং এর মূল ভিত্তি হলো ন্যায়বিচার, পরামর্শ এবং জনগণের কল্যাণ।
ইসলামিক রাষ্ট্রব্যবস্থা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে শাসক এবং জনগণ উভয়েই তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকে। এখানে ক্ষমতা কোনো ব্যক্তিগত অধিকার নয়, বরং এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া একটি পবিত্র আমানত।
এখানে ক্ষমতাকে কোনো স্থায়ী অধিকার হিসেবে দেখা হয় না, বরং এটি একটি পবিত্র দায়িত্ব, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। যিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, তিনি এর জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। এই ধারণাটি শাসককে স্বেচ্ছাচারী হওয়া থেকে বিরত রাখে এবং তাকে তার দায়িত্ব পালনে আরও বেশি সতর্ক করে তোলে।
ইসলামিক রাষ্ট্র নিয়ে উক্তি
“শাসক হলো জনগণের সেবক।” — আবু বকর (রা.)
“ন্যায়বিচার ছাড়া কোনো রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারে না।” — উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)
“ক্ষমতা আল্লাহর আমানত।” — উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)
“শাসকের উচিত জনকল্যাণকে নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া।” — উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)
“শ্রেষ্ঠ জিহাদ হলো জালেম শাসকের সামনে সত্য কথা বলা।” — হযরত মুহাম্মদ (সা.)
“জনগণের মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।” — উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)
“পরামর্শ (শুরা) ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়।” — কোরআন (৩:১৫৯)
“ন্যায়বিচার ছাড়া ধর্ম ও রাষ্ট্র দুটিই ধ্বংস হয়ে যায়।” — ইমাম ইবনে তাইমিয়া
“আমানতদারী ও ন্যায়বিচার ছাড়া কোনো শাসক তার জাতির উপর টিকে থাকতে পারে না।” — আবু বকর (রা.)
“ইসলামী রাষ্ট্র জনগণের সেবা করার জন্য।” — আল-মাওয়ার্দী
“যদি শাসক জুলুম করে, তবে তার পতন অবশ্যম্ভাবী।” — ইমাম আল-কুরতুবী
“নেতৃত্বের মূল বৈশিষ্ট্য হলো সততা ও জবাবদিহি।” — উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)
“ক্ষমতার আসল লক্ষ্য মানবজাতির কল্যাণ সাধন।” — মুহাম্মদ ইকবাল

“রাষ্ট্র হলো আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনার একটি মাধ্যম।” — সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী
“শাসন ব্যবস্থা এমন হতে হবে, যেখানে কোনো ব্যক্তি ভয়ে থাকবে না।” — উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)
“জনগণের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করা রাজনীতি নয়, এটি ধ্বংসের পথ।” — আলী ইবনে আবি তালিব (রা.)
“আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা উচিত।” — আল-ফারাবী
“যে শাসক তার জাতির প্রতি দয়ালু নয়, আল্লাহও তার প্রতি দয়ালু নন।” — হযরত মুহাম্মদ (সা.)
“একজন ভালো শাসক হলেন যিনি তার দায়িত্বের জন্য ভয় করেন।” — উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)
“রাজনৈতিক ক্ষমতাকে অবশ্যই নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলতে হবে।” — ইমাম খোমেনি
“আল্লাহর পথে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করো, কারণ ন্যায় তাকওয়ার সবচেয়ে কাছাকাছি।” —আল-কোরআন
“শাসক যদি অন্যায়ের সাথে থাকে, তবে জনগণের ওপর আল্লাহর রহমত নেমে আসে না।” — হাদিস
“শাসন হলো আমানত, আর কেয়ামতের দিনে তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে।” — হাদিস (সহিহ মুসলিম)
“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নেতা সেই, যে জনগণের জন্য কল্যাণকর।” — হাদিস
“অন্যায় শাসক হলো উম্মাহর জন্য অভিশাপ।” — আলী (রা.)
“শাসকের দায়িত্ব হলো দুর্বলদের অধিকার রক্ষা করা।” — উমর (রা.)
“ন্যায়পরায়ণ শাসক কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের ছায়ায় থাকবে।” — হাদিস (বুখারি, মুসলিম)
“দুনিয়া টিকে থাকে ন্যায় দিয়ে, যদিও কুফর থাকে; কিন্তু অন্যায় দিয়ে কোনো রাষ্ট্র টিকে থাকে না।” — ইবনে তাইমিয়াহ
“জনগণের ওপর জোরজবরদস্তি করে যে শাসক রাজত্ব করে, আল্লাহ তাকে অপমানিত করেন।” — হাদিস
“যেখানে দুর্বলকে ন্যায় দেওয়া হয় না, সেখানে আল্লাহর অভিশাপ নেমে আসে।” — হাদিস
“শাসক জনগণের মাঝে সৎ হলে জাতি উন্নত হয়, আর শাসক দুর্নীতিগ্রস্ত হলে জাতি ধ্বংস হয়।” — ইবনে খালদুন
“ন্যায় হলো রাজনীতির প্রাণ।” — ইমাম গাজ্জালী
“শাসকের কাজ হলো মানুষকে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী পরিচালনা করা।” — আবু বকর (রা.)
“যে শাসক দুর্নীতি করে, তার চারপাশে দুর্নীতিবাজরা ভিড় জমায়।” — আলী (রা.)
“শাসন কেবল সেই ব্যক্তি করবে, যে আল্লাহভীরু ও জনগণের সেবায় নিবেদিত।” — উমর (রা.)
“শাসকের উচিত জ্ঞানী ও যোগ্য লোকদের দিয়ে পরামর্শ করা।” — ইমাম শাফেয়ী
“যেখানে জুলুম শুরু হয়, সেখানে বরকত শেষ হয়ে যায়।” — ইমাম মালিক
“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত শাসক হলো জালিম শাসক।” — হাদিস
“রাষ্ট্রের আসল শক্তি তার ন্যায়পরায়ণ শাসক ও নীতিতে।” — ইবনে খালদুন
ইসলামি কথা
নিচে কিছু ইসলামি কথা আপনাদের সাথে ক্যাপশন আকারে শেয়ার করলাম-
জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর রহমতের উপহার।
সাফল্য আল্লাহর হাতে, চেষ্টা আমাদের দায়িত্ব।
কঠিন সময়ের পরে আসে সহজ সময়।
আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন, তিনি সেরাটাই রেখেছেন।
দোয়া হলো মুমিনের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।
শান্তি আসে আল্লাহর স্মরণে।
নিয়মিত ইবাদতেই জীবনের আসল শান্তি।
সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে।
নেক কাজ করুন, কারণ আল্লাহর কাছে কিছুই বৃথা যায় না।
মা-বাবার সেবা আল্লাহর সন্তুষ্টির চাবিকাঠি।
ক্ষমা করুন, কারণ আল্লাহ ক্ষমাশীল।
দান করুন, কারণ দান সম্পদকে পবিত্র করে।
সত্য বলুন, যদিও তা তিক্ত হয়।
পাপ থেকে দূরে থাকুন, কারণ এটি অন্তরকে অন্ধকার করে।
মৃত্যু জীবনের শেষ নয়, বরং নতুন জীবনের শুরু।
জ্ঞান অর্জন করুন, এটি ইবাদতের অংশ।
আল্লাহর রহমত থেকে কখনও নিরাশ হবেন না।
যে আপনাকে ভালোবাসে, সে আপনাকে আল্লাহর কাছে নিয়ে যাবে।