রাজনৈতিক ক্যাপশন বিএনপি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হলো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত একটি মূলধারার রাজনৈতিক শক্তি, যার মূলমন্ত্র হলো ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’। ‘আল্লাহর ওপর বিশ্বাস’ এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক হিসেবে এই দলটি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার রক্ষায় আপসহীন লড়াই করে চলেছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা বারবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করেছেন। চলমান রাজনীতিতে তারা জনগণের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং দেশে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’এই স্লোগান ধারণ করে বিএনপি একটি ন্যায়ভিত্তিক ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর।
রাজনৈতিক ক্যাপশন বিএনপি
ভোটাধিকার আজ শৃঙ্খলিত, জনগণ নীরব দর্শক। বিএনপি এই নীরবতা ভেঙে জনগণের হারানো ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আপসহীনভাবে লড়ে যাচ্ছে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি কোনো রাজনৈতিক কৌশল নয়, এটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম থামবে না।
আমরা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রে জনগণের ইচ্ছাই চূড়ান্ত। জালিয়াতি ও কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।
অত্যাচারী শাসন এবং দুঃশাসনের সমাপ্তি ঘটাতে হবে। তারুণ্যের শক্তিকে সাথে নিয়ে বিএনপি গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
গণতন্ত্রের নামে একদলীয় শাসন চলতে পারে না। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনই আমাদের লক্ষ্য।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ আমাদের পথ চলার পাথেয়। এই আদর্শেই দেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে।
আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাসকে বুকে ধারণ করে বিএনপি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এটিই আমাদের দলের মৌলিক ভিত্তি।

‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ এই স্লোগান বিএনপির দেশপ্রেমের প্রতীক। দেশকে ভালোবাসার এই ব্রত নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি।
নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হলেও তাঁর আপসহীন নেতৃত্ব আমাদের প্রেরণা। তাঁর মুক্তি আমাদের আন্দোলনের প্রধান ইন্ধন।
দেশনায়ক তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে বিএনপি আজ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ। জনগণের ক্ষমতায়নই তাঁর মূল দর্শন।
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবন আজ বিপর্যস্ত। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সিন্ডিকেট ভেঙে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ফিরিয়ে আনবে।
দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত আজ লুটপাটের শিকার। আমরা এই লুটেরাদের কবল থেকে দেশের অর্থনীতিকে মুক্ত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব।
মেগা প্রজেক্টের নামে জনগণের অর্থ অপচয় বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা একটি জনমুখী বাজেট ও স্বচ্ছ প্রকল্প ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করব।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। বিএনপি স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ নিশ্চিত করবে।
সরকারের চরম ব্যর্থতা দেশের যুবসমাজকে হতাশ করেছে। বেকারত্ব দূর করে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি নিশ্চিত করাই হবে আমাদের অগ্রাধিকার।
গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড গণতন্ত্রের জন্য অভিশাপ। বিএনপি এসব বন্ধ করে জনগণের নিরাপত্তা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করবে।
ভিন্ন মত দমনে হয়রানি বন্ধ হোক। একটি গণতান্ত্রিক দেশে সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সহাবস্থান থাকা অপরিহার্য।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রুদ্ধ করে সরকার নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে চাইছে। আমরা গণমাধ্যমকে পুরোপুরি স্বাধীনতা দেব।
কৃষক ও শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। ন্যায্য মূল্য ও শ্রমের সঠিক মর্যাদা নিশ্চিত করাই বিএনপির অঙ্গীকার।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে। মানসম্মত ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা নিশ্চিত করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ।
ভয়ভীতি দেখিয়ে জনগণের এই গণজাগরণ থামানো যাবে না। বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করবেই।
শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আমাদের অধিকার, কিন্তু অন্যায়ভাবে বাধা দিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আমরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।
গণতন্ত্রের জন্য আমাদের রক্ত ঝরেছে, এই রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশের মুক্তি না আসা পর্যন্ত সংগ্রাম চলবেই।
কারাগার, হামলা বা মামলার ভয় দেখিয়ে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা অসম্ভব। আমাদের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ও ইস্পাত কঠিন।
আসুন, দল-মত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। এই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই আমরা স্বৈরাচারী শাসনের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করব।
দেশের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও অধিকার আদায়ের দৃঢ়তাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই ঐক্যই আমাদের বিজয় নিশ্চিত করবে।
বিএনপি কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি প্ল্যাটফর্ম। আমরা দেশকে তার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনব।
আমরা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। একটি শক্তিশালী, আধুনিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে আমরা প্রস্তুত।
BNP নিয়ে ক্যাপশন
জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো সরকার বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনে সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আমরা কোনো আংশিক সমাধান চাই না। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে এই দাবিতে বিএনপি অনড়।
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় বিএনপি সর্বদা মাঠে আছে। নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে দেশের সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।
স্বাধীনতার মূল চেতনা হলো গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার। এই চেতনাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই শহীদ জিয়ার আদর্শের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ব্যালট বাক্সের ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করাই এখন বিএনপির একমাত্র এজেন্ডা। জনগণের মতামতের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অবৈধভাবে আটকে রাখা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরম নিদর্শন। তাঁর মুক্তি ছাড়া দেশে কোনো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না।
প্রবাসে থেকেও দেশনায়ক তারেক রহমান দেশের প্রতিটি সংকটে জনগণের পাশে আছেন। তাঁর অনুপ্রেরণাই বিএনপি কর্মীদের প্রধান চালিকাশক্তি।

খালেদা জিয়ার আপসহীন সংগ্রাম এবং তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব এই দুই শক্তির সমন্বয়ে বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে। বিজয় সুনিশ্চিত।
নেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে প্রহসন মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অবিলম্বে দেশনেত্রীর চিকিৎসার জন্য মুক্তি দাবি করছি।
দেশের তরুণ প্রজন্মকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এই তারুণ্যই ভরসা।
আইনের শাসন মানে শুধুমাত্র সরকারের সুবিধাভোগীদের জন্য নয়। সকলের জন্য সমানাধিকার নিশ্চিত করাই বিএনপির লক্ষ্য।
গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের কঠোর বিচার করবে।
দেশের প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে হবে। পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে এনে জনগণের বন্ধু হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করছি।
জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু এই সরকার জনগণের *জানমালের নিরাপত্তায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর আক্রমণ একটি সুস্থ সমাজের লক্ষণ নয়। আমরা গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরকে মুক্ত করব।
সাধারণ মানুষ আজ চরম অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত। সিন্ডিকেট ভেঙে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিএনপি একটি কার্যকর অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে আসবে।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। জনবান্ধব নীতি গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের কষ্ট লাঘব করতে হবে।
ব্যাংক ও শেয়ারবাজারের লাগামহীন লুটপাট প্রমাণ করে এই সরকার অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। অর্থনৈতিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি।
বৈদেশিক ঋণের বোঝা দেশকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। বিএনপি একটি টেকসই অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে তুলতে কাজ করবে।
কৃষক তার পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না, অন্যদিকে ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুষম বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
মিথ্যা মামলা, জেল, জুলুমের ভয় দেখিয়ে বিএনপি কর্মীদের মনোবল ভাঙা যাবে না। আমরা জনগণের অধিকার আদায়ে বদ্ধপরিকর।
জনগণের এই স্বতঃস্ফূর্ত জাগরণ প্রমাণ করে যে তারা পরিবর্তন চায়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই এই পরিবর্তন আসবে।
কোনো রক্তচক্ষু বা হুমকি আমাদের আন্দোলন থেকে সরাতে পারবে না। স্বাধীনতার চেতনায় বলীয়ান হয়ে আমরা এগিয়ে চলব।
বিএনপি বিশ্বাস করে, রাজনৈতিক শিষ্টাচার ফিরিয়ে এনে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই দেশের বড় সংকট মোকাবিলা সম্ভব।