বাঁশ নিয়ে উক্তি বলতে গেলে শেষ হবে না। বাঁশ পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উপকারী, কারণ এটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। এটি একটি অত্যন্ত টেকসই এবং বহুমুখী প্রাকৃতিক সম্পদ, যা দিয়ে ঘর, আসবাবপত্র, হস্তশিল্প এবং বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করা যায়।
বাঁশ সম্পর্কে মজার কিছু বিষয়ে আছে যেমন, “জীবনে বাঁশ খেলে তবেই বাঁশ দিতে শেখা যায়।” – এটি একটি ব্যঙ্গাত্মক উক্তি। এখানে “বাঁশ খাওয়া” মানে জীবনে বড় ধরনের ধাক্কা খাওয়া বা বিপদে পড়া। এই ধরনের উক্তি দিয়ে বোঝানো হয় যে কঠিন অভিজ্ঞতা মানুষকে আরও চালাক এবং সতর্ক করে তোলে।
“বাঁশকে আমরা শুধু সোজা বলেই জানি, কিন্তু সে যে কত দিকে বাঁক নিতে পারে তা শুধু তার ব্যবহারকারীই জানে।” – এখানে বাঁশের নমনীয়তা এবং বহুবিধ ব্যবহারের দিকটি মজার ছলে তুলে ধরা হয়েছে। বাঁশের কঞ্চি বা শলা দিয়ে নানা ধরনের বাঁকানো জিনিসপত্র তৈরি করা যায়।
বাঁশ নিয়ে উক্তি
জীবনে দু’জনের থেকে দূরে থাকতে হয় – যে বাঁশ দেয় আর যে বাঁশ খায়। – এটি একটি মজাদার এবং চিন্তামূলক উক্তি। এটি দিয়ে বোঝানো হয় যে, যারা ঝামেলা সৃষ্টি করে এবং যারা সহজেই ঝামেলায় পড়ে, তাদের থেকে দূরে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ।
বাঁশ হলো জীবনের সত্যিকারের বন্ধু সবাইকে সমানভাবে খোঁচায়।
বাঁশ দিলে কেউ কাঁদে, আবার কেউ বাঁশি বাজায়।
বাঁশের সবচেয়ে বড় গুণ, সোজা থাকে কিন্তু লোকজনকে বাঁকা করে দেয়।
জীবনে বাঁশ না খেলে অভিজ্ঞতা অসম্পূর্ণ।
যে বাঁশ পায়, সে-ই বোঝে বাঁশ কতটা লম্বা।
বাঁশ আর সুযোগ যেকোনো দিক থেকে আসতে পারে।
বাঁশের আসল শক্তি বোঝা যায়, যখন সেটা নিজের ঘাড়ে নামে।
বাঁশের মতো লোক সবখানেই আছে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে, হঠাৎ ব্যথা দিয়ে যায়।
বাঁশের গাছ যতই উঁচু হোক, কাজ শেষে সেটা মাটিতেই লাগে।
জীবনে বাঁশ পেতে না চাইলে, জঙ্গলেই যেও না।

বাঁশ হলো গণতন্ত্রের মতো সবার জন্য সমান সুযোগ।
বাঁশ খাওয়ার পর মানুষ দার্শনিক হয়ে যায়।
বাঁশ আর পরীক্ষা দুটোই অপ্রত্যাশিতভাবে এসে যায়।
বাঁশের আঘাত নরম মনে হলেও, ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী।
বাঁশ হলো সাইলেন্ট কিলার আসে নিঃশব্দে, যায় স্মৃতিতে।
বাঁশ মানুষকে নম্র হতে শেখায় ঘাড় নত করতে হয়।
বাঁশে অভিজ্ঞতা না থাকলে, গল্প করার টপিক শেষ হয়ে যেত।
বাঁশ খাওয়ার পর মনে হয়, “সবই মায়া”।
বাঁশ হলো ভালোবাসার মতো প্রথমে বোঝা যায় না, পরে ব্যথা দেয়।
বাঁশকে কেউ ডাকতে হয় না, সে নিজেই সময় মতো হাজির হয়।
বাঁশ নিয়ে মজার উক্তি
এই সেকশনে বাঁশ নিয়ে কিছু মজার উক্তিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, আশা করছি আপান্দের পছন্দ হবে।
বাঁশের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এটা কখন আসবে তা আগে থেকে কেউ বুঝতে পারে না। জীবনে অনেক কিছু এড়ানো যায়, কিন্তু বাঁশের আগমন একেবারেই অনিবার্য।
যতই প্ল্যান করো, যতই ক্যালকুলেশন করো, হঠাৎ কোথা থেকে বাঁশ এসে সব ওলট-পালট করে দেবে এটাই জীবনের বাস্তবতা।
বাঁশ খাওয়ার পর মানুষ সবসময় বলে, “এবার থেকে সাবধান হব।” কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, পরের বাঁশ আসে আরও দ্রুত গতিতে।
বন্ধুত্ব আর বাঁশের মধ্যে পার্থক্য হলো বন্ধু চাইতে হয়, বাঁশ নিজে থেকেই চলে আসে।
বাঁশ হলো এমন এক শিক্ষক, যিনি পরীক্ষা আগে নেন, তারপর শেখান কোথায় ভুল হয়েছে।
কেউ যখন বলে ‘চিন্তা করিস না, আমি আছি’, তখনই বুঝে নিতে হবে বাঁশ আসতে দেরি নেই।
বাঁশের খোঁচা একবারে শেষ হয় না, এটা লম্বা একটা সিজন, যেখানে প্রতিদিন নতুন এপিসোড শুরু হয়।
বাঁশকে যারা ভয় পায় না, তারা আসলে জীবনের খেলায় পুরোদস্তুর খেলোয়াড়।
যত বড়ই বুদ্ধিমান হও না কেন, বাঁশের ক্যালকুলেশন তোমার থেকে সবসময় দুই কদম এগিয়ে।
বাঁশ খেয়ে মানুষ যতটা কষ্ট পায়, অন্যের বাঁশের গল্প শুনে ততটাই মজা পায়।
বাঁশ হলো জীবনের ওয়াই-ফাই সবাইকে কানেক্ট করে দেয়, কিন্তু সিগনাল সবসময় দুর্বল।

যে বলে সে কোনোদিন বাঁশ খায়নি, সে হয় মিথ্যা বলছে, নয়তো এখনও বাঁশের প্রথম সিজন শুরু হয়নি।
বাঁশ এমন এক অ্যালার্ম ক্লক, যা বাজলে তুমি বুঝতে পারো স্বপ্ন দেখার সময় শেষ।
মানুষ যতই ক্যালকুলেটর দিয়ে হিসাব করুক, বাঁশের অঙ্ক সবসময় অমীমাংসিত থেকে যায়।
বাঁশ হলো এমন এক উপহার, যেটা কেউ চায় না, কিন্তু সবাই কোনো না কোনোভাবে পায়।
জীবনে বাঁশ খাওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকলে, সফলতার গল্প কখনোই পূর্ণ হয় না।
বাঁশ এমন এক যাত্রা, যেখানে টিকিট কাটতে হয় না সরাসরি গন্তব্যে পৌঁছে যায়।
মানুষ যতই লুকাতে চায়, বাঁশ ঠিকই GPS চালু করে খুঁজে বের করে নেয়।
বাঁশ খেয়ে মানুষ বোঝে, ধৈর্য নামক জিনিসটা আসলে কতটা দরকার।
বাঁশ জীবনের এমন এক শিক্ষক, যে কোনো সিলেবাস মানে না, হঠাৎ হঠাৎ টেস্ট নিয়ে ফেলে।
বন্ধুকে বাঁশ দেওয়া স্ট্যাটাস
বন্ধু মানে সেইজন, যে তোমার সুখে সেলফি তোলে আর দুঃখে বাঁশ দেয়।
বন্ধুরা না থাকলে জীবন সুন্দর হতো, কিন্তু এত বাঁশ পেতাম কোথা থেকে?

সত্যিকারের বন্ধু হলো সেই, যে আগে বাঁশ দেয়, তারপর বলে “দোস্ত, টেনশন নিস না।”
বাঁশ দিলে সবাই শত্রু হয়, কিন্তু বন্ধু দিলে সেটা নাকি মজা!
বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার আসল নিয়ম: নিয়মিত বাঁশ দেওয়া আর বাঁশ খাওয়া।
বন্ধুর বাঁশ খেয়ে বেঁচে থাকাই প্রমাণ তুমি সত্যিকারের ফ্রেন্ড সার্কেলে আছো।
দোস্ত মানে সেই, যে তোমার জন্মদিন ভুলে যাবে কিন্তু বাঁশ দিতে কখনো ভুলবে না।
বন্ধুর বাঁশে ব্যথা কম, কিন্তু হাসি বেশি এইজন্যই ওরা ভিআইপি।
শত্রুরা যত বাঁশ দিক, কষ্ট হয়। কিন্তু বন্ধুর বাঁশ হলো এন্টারটেইনমেন্ট!
বন্ধুত্বের আসল মজা বাঁশের ভেতরেই লুকানো যত বাঁশ, তত বন্ধুত্ব মজবুত।