কষ্টের জীবন নিয়ে কিছু কথা বলতে জীবনে ঘটে যাওয়া কষ্টের মুহূর্তগুলো সবার সাথে শেয়ার করা বুঝায়। আমাদের জীবনে কোনো না কোনো কষ্ট থেকে যায় অনেক সময় আমরা এই কষ্ট সবার সাথে শেয়ার করতে পারি না এই অবস্থায় কথা দিয়ে, ফেসবুকে ক্যাপশন প্রকাশ করে বা স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের কাছে জমানো কষ্ট সবার সাথে শেইয়ার করি।
কষ্টের জীবন নিয়ে কিছু কথা
জীবনের একটা দিক সবসময়ই হাসিখুশি বা আলো ঝলমলে হয় না। কখনো কখনো জীবনটা কেবলই কষ্টের এক দীর্ঘ পথ, যেখানে প্রতিটা মোড়ে নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ বা ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন অপেক্ষা করে।
কষ্টের সবচেয়ে বড় সত্য হলো, বাইরে থেকে আপনি যতই শক্ত বা হাসিখুশি থাকুন না কেন, আপনার ভেতরের যন্ত্রণা কেবল আপনিই জানেন। পৃথিবীর কাছে আপনি কেবল একজন স্বাভাবিক মানুষ, কিন্তু আপনার হৃদয়ে লুকিয়ে আছে না বলা গোপন পাহাড়।
কিছু মানুষের জীবনে কষ্টটা অতিথির মতো আসে না, আসে স্থায়ী বাসিন্দার মতো। তারা প্রতিদিন জেগে ওঠে সেই কষ্টকে সঙ্গী করেই। সময়ের সাথে সাথে তারা শেখে কীভাবে সেই ভারী বোঝা কাঁধে নিয়েই চলতে হয়।
আসলে কষ্ট আমাদের ভেঙে দেয় না, বরং গড়ে তোলে। প্রতিটা আঘাত আমাদের শিখিয়ে যায় কে আপন, আর কার কাছ থেকে দূরে থাকা ভালো। কষ্টের পরেই আমরা জীবনের আসল মূল্য বুঝতে পারি।
অনেকে ভাবে, যারা কাঁদে না তাদের বুঝি কষ্ট নেই। কিন্তু আসল বেদনা তো সেটাই, যা চোখের জল হয়ে ঝরে না বরং নীরবে নিঃশ্বাসে মিশে থাকে। সেই কষ্টটা আরও বেশি গভীর, আরও বেশি নিঃসঙ্গ।
কষ্টের জীবন মানেই কিন্তু হেরে যাওয়া নয়। এর অর্থ হলো, আপনি হয়তো অন্যদের চেয়ে একটু বেশি সংগ্রামী। আপনি প্রতিদিন যুদ্ধ করেন সেইসব অদৃশ্য যন্ত্রণাগুলোর সাথে, যা বাইরের দুনিয়ার কাছে সম্পূর্ণ অজানা। আর সেই নীরব যুদ্ধ আপনাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
জীবনের এই কঠিন পথটা পার হতে হয়তো সময় লাগে, কিন্তু মনে রাখবেন অন্ধকারের পরেই আলো আসে, আর প্রতিটা কষ্টের শেষেই কোনো না কোনো নতুন শুরুর সম্ভাবনা থাকে। নিজের প্রতি যত্ন নিন এবং ভালো থাকার চেষ্টা করুন।
হাসিটা শুধু বাইরের মুখোশ, ভেতরে জমে থাকা অজানা কষ্টগুলো গুনেও শেষ করা যায় না। সেই যন্ত্রণা নিয়েই প্রতিটা দিন শুরু হয়।
কিছু কষ্ট আছে, যা কাউকে বলা যায় না, শুধু বুকের মধ্যে নিঃশব্দে বইতে হয়। এই নীরবতাই সবচেয়ে বড় ভার।
আমি ঠিক আছি এই কথাটা হয়তো প্রতিদিন বলি, কিন্তু ভেতরের আমিটা জানে, সে আসলে এক টুকরো ভেঙে যাওয়া কাঁচ।
যে পথে একা হাঁটা যায়, সে পথেই জীবনের সবচেয়ে কঠিন সত্যগুলো লুকিয়ে থাকে। নিঃসঙ্গতাই তখন একমাত্র সঙ্গী।
চোখের জলটা হয়তো মুছে ফেলা যায়, কিন্তু মন থেকে মুছে ফেলা যায় না সেই অবিরাম কষ্ট যা প্রতিটা দিন পোড়ায়।

জীবন আমাকে একটা জিনিসই শিখিয়েছে: তুমি যত বেশি নির্ভরশীল হবে, কষ্ট তত বাড়বে। তাই নিজের পথটা নিজেই চিনে নাও।
বিচ্ছেদ বা ব্যর্থতা এগুলো আসলে জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। এরা এসে শেখায়, কাকে ধরে রাখতে হয় আর কাকে যেতে দিতে হয়।
যে মানুষটা একবার ভাঙা শিখেছে, তাকে আর দ্বিতীয়বার কেউ সহজে ভাঙতে পারে না। কষ্টই তার সবচেয়ে বড় শক্তি।
আবেগহীন হওয়াটা এক প্রকার শান্তি। কষ্টের তীব্রতা যখন সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন মন নিজেকে এভাবেই বাঁচায়।
কিছু সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলেও, তার কষ্ট আর স্মৃতি সারাজীবন ধরে হৃদয়ে গেঁথে থাকে। এই যন্ত্রণা ভুলতে নেই।
সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয় সেই কথাগুলো, যা সবচেয়ে কাছের মানুষগুলোই একসময় বলে যায়। তাদের অবহেলাই নীরব যন্ত্রণার কারণ।
কেউ তোমার অনুপস্থিতিতে যদি অন্য কাউকে খুঁজে নেয়, তবে বুঝে নিও তুমি তার মূল্যবান ছিলে না, ছিলে শুধুই প্রয়োজন।
সব কষ্টকে সঙ্গী করেই বাঁচতে হয়। কারণ জীবনের নিয়ম এটাই এখানে শেষ বলে কিছু নেই, শুধু বদলে যাওয়া আছে।
নিজের জীবন নিয়ে কিছু কথা
বাইরে থেকে সবাই আমাকে শক্ত দেখে, কিন্তু ভেতরের আমিটা প্রতিদিন নীরবে ভেঙে যায়। সেই শব্দ কেউ শুনতে পায় না।
কিছু কান্না চোখের জল হয়ে ঝরে না, বরং গোপনে নিঃশ্বাসে মিশে থাকে। এটাই চাপা কষ্টের সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
আমার হাসিটা একটা নিখুঁত অভিনয়, যা দিয়ে আমি প্রতিদিন হাজারো মানুষের কাছ থেকে আমার ভেতরের ক্ষত লুকিয়ে রাখি।
সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধ হলো সেই যুদ্ধ, যা আপনি নীরবে কেবল নিজের সাথেই করেন। যেখানে কেউ আপনার সঙ্গী হয় না।
ভেতরের আগুনটা দাউ দাউ করে জ্বললেও, আমি বাইরে ঠাণ্ডা বরফের মতো থাকি। এই নিয়ন্ত্রণটাই আমার বেঁচে থাকার কৌশল।
সবচেয়ে কাছের মানুষগুলো যখন বোঝার চেষ্টা করে না, তখন থেকেই কষ্টটা চাপা পড়তে শুরু করে।
আমি আর অভিযোগ করি না, কারণ আমি জানি, যেখানে একবার মূল্য কমে যায়, সেখানে আর কোনো কথা বলার প্রয়োজন থাকে না।
কিছু সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরেও তার রেশ এমনভাবে থেকে যায়, যেন আপনার ভেতরের একটা অংশ চিরকালের জন্য খালি হয়ে গেছে।
