বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ মুসলমান। আমরা ফেসবুকে ইসলামিক স্ট্যাটাস দিতে পছন্দ করি। অনেক সময় অনেক জায়গায় আপনারা পছন্দের ইসলামিক ক্যাপশন খুজার জন্য সার্চ করেও পছন্দের ক্যাপশন বা স্ট্যাটাস খুঁজে পান না। আজকে আমরা খুব সুন্দর কিছু ইসলামিক স্ট্যাটাস আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এসব ক্যাপশন বা স্ট্যাটাস আপনারা এক ক্লিকেই কপি করে আপনাদের ফেসবুকে পোস্ট করতে পারবেন।
ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে উক্তি বা কোনো সূরা এর বিশেষ আয়াত যা আমাদের বিভিন্নভাবে শিক্ষা দেয় সেসব হলো ইসলামিক উক্তি বা স্ট্যাটাস। নিচে এমন কিছু স্ট্যাটাস আপনাদের জন্য দেওয়া হয়েছে।
সেরা ইসলামিক স্ট্যাটাস ৫০টি
যখন কোনো বিপদ পরবেন, তখন বলুন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’—নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর কাছেই ফিরে যাবো।



ইসলামিক ক্যাপশন ২০২৫
ইসলামিক ক্যাপশন গুলো পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে। যদি কোনো জায়গায় ভুল থাকে দোয়া করে আমাদের জানাবেন, আমরা সঠিক করে দিব ইনসাআল্লাহ্।
إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَن يَقُولَ لَهُ كُن فَيَكُونُ তিনি যখন কোনো কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন শুধু বলেন: ‘হও’, আর তা হয়ে যায়। (সূরা ইয়াসিন, আয়াত: ৮২)
وَلَا تَيْأَسُوا مِن رَّوْحِ اللَّهِ ۖ إِنَّهُ لَا يَيْأَسُ مِن رَّوْحِ اللَّهِ إِلَّا الْقَوْمُ الْكَافِرُونَ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই কাফির জাতি ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না। (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৮৭)
وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ ۚ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তার পেছনে পড়ো না। নিশ্চয়ই কান, চোখ ও অন্তর—এগুলো প্রত্যেকটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। (সূরা বনী-ইসরাঈল, আয়াত: ৩৬)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا اللَّهَ ذِكْرًا كَثِيرًا হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো। (সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৪১)

فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ অতএব তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমাদের স্মরণ করব। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৫২)
أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ জেনে রাখো, আল্লাহর স্মরণেই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়। (সূরা আর-রা’দ, আয়াত: ২৮)
وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَىٰ শীঘ্রই তোমার প্রতিপালক তোমাকে এমন কিছু দেবেন, যাতে তুমি খুশি হয়ে যাবে। (সূরা আদ-দুহা, আয়াত: ৫)
إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৪৮)

وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ আমি জিন ও মানুষকে আমার ইবাদত ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি। (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৫৬)
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং আখেরাতেও কল্যাণ দাও। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২০১)
وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য পথ খুলে দেন। (সূরা আত-তালাক, আয়াত: ২)
لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোনো দায়িত্ব দেন না। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৮৬)
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২২)
وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا এবং বলো, হে আমার প্রতিপালক! তুমি তাদের প্রতি দয়া করো, যেমন তারা শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছেন। (সূরা বনী-ইসরাঈল, আয়াত: ২৪)
إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তাঁরই কাছে ফিরে যাবো। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৫৬)
وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ হতে পারে তোমরা কোনো কিছুকে অপছন্দ করো, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২১৬)
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? (সূরা আর-রাহমান, আয়াত: ১৩)
إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয করা হয়েছে। (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১০৩)
وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। (সূরা আত-তালাক, আয়াত: ৩)
قُل لَّن يُصِيبَنَا إِلَّا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَنَا বলো, আল্লাহ আমাদের জন্য যা নির্ধারণ করেছেন, তা ছাড়া কোনো কিছুই আমাদের ওপর আপতিত হবে না। (সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ৫১)
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ প্রতিটি প্রাণকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত: ১৮৫)
وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দেবেন না, যতক্ষণ তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে। (সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৩৩)
إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَن يَقُولَ لَهُ كُن فَيَكُونُ তিনি যখন কোনো কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন শুধু বলেন: ‘হও’, আর তা হয়ে যায়। (সূরা ইয়াসিন, আয়াত: ৮২)
وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ হতে পারে তোমরা কোনো কিছুকে পছন্দ করো, অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২১৬)
وَمَن أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَا إِلَى اللَّهِ তার চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করে? (সূরা ফুসসিলাত, আয়াত: ৩৩)

إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ নিশ্চয়ই আল্লাহ ওয়াদা খেলাপ করেন না। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৯)
لَا تَدْرِي لَعَلَّ اللَّهَ يُحْدِثُ بَعْدَ ذَٰلِكَ أَمْرًا তুমি জানো না, হয়তো এর পরেও আল্লাহ নতুন কোনো উপায় বের করে দেবেন। (সূরা আত-তালাক, আয়াত: ১)
لَيْسَ عَلَى الْأَعْمَىٰ حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْأَعْرَجِ حَرَجٌ অন্ধের ওপর কোনো দোষ নেই, খোঁড়ার ওপরও কোনো দোষ নেই। (সূরা আন-নূর, আয়াত: ৬১)
ইমোশনাল ইসলামিক স্ট্যাটাস
প্রিয় পাঠক ইমোশনাল ইসলামিক স্ট্যাটাস বলছে কিছু অনুপ্রেরণামূলক ইসলামিক স্ট্যাটাসকে বুঝায়, আল্লাহ ও তার বান্দাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক দেখাতে এসব স্ট্যাটাস দেওয়া হয়।
তুমি যতবার ভেঙে পড়ো না কেন, আল্লাহর কাছে ফিরে যাও। তিনি তোমার চোখের জলকে জান্নাতের সিঁড়ি বানিয়ে দেবেন। মানুষের সামনে নিজেকে বোঝাতে হবে না, কিন্তু আল্লাহর সামনে কেঁদে ফেলতে হবে — কারণ সেই কান্নাই তোমার জন্য রহমতের দরজা খুলে দেবে।
জীবনের প্রতিটি দুঃখ, হারানো সুযোগ, ব্যথা — সবকিছুর পেছনে আল্লাহর এক বিশেষ পরিকল্পনা আছে। তুমি হয়তো আজ বুঝতে পারছো না, কিন্তু একদিন তুমি হাসবে এবং বলবে — ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ যা করেছেন, সেটাই আমার জন্য সেরা ছিল।’
আল্লাহ তোমাকে কখনো ভুলে যাননি, কখনো একা ফেলে দেননি। তুমি হয়তো মনে করো, তোমার দোয়া কবুল হচ্ছে না, কিন্তু হয়তো আল্লাহ তোমার জন্য আরও ভালো সময় এবং ভালো জিনিস প্রস্তুত করছেন।
মানুষ তোমাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে, অবহেলা করতে পারে, ভুল বুঝতে পারে। কিন্তু আল্লাহ? তিনি কখনো তোমার দোয়া ফিরিয়ে দেন না। তুমি যদি কারো সাথে সব কথা খুলে বলতে চাও, তবে আল্লাহর সাথে বলো — তিনি শোনেন, বোঝেন, এবং উত্তর দেন।
যখন মনে হবে সব দরজা বন্ধ, তখন মনে রেখো — আল্লাহর রহমতের দরজা সবসময় খোলা থাকে। মানুষের দেওয়া আশা ভেঙে যেতে পারে, কিন্তু আল্লাহর দেওয়া আশা কখনো ভাঙে না।
তুমি যদি রাতের গভীরে আল্লাহর সামনে দাঁড়াও, চোখের জল ফেলো, হৃদয় উজাড় করে দোয়া করো — তাহলে বিশ্বাস রাখো, আল্লাহ তোমার দোয়া আসমান থেকে ফেরত পাঠাবেন না।
যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভালোবাসে, আল্লাহ তার জীবনে এমন পরীক্ষা দেন যা তাকে আরও কাছাকাছি নিয়ে যায়। পরীক্ষাকে ভয় কোরো না, এগুলো আল্লাহর ভালোবাসার প্রমাণ।
মানুষের দৃষ্টি কেবল তোমার বাহ্যিক অবস্থা দেখে, কিন্তু আল্লাহ তোমার হৃদয়ের অবস্থা দেখেন। তাই মানুষের জন্য নয়, আল্লাহর জন্য ভালো হও।

আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো, এমনকি সেই ছোট বিষয়গুলোর জন্যও যা তুমি মনে করো তুচ্ছ। কারণ তিনি তোমার প্রতিটি কথা শোনেন, প্রতিটি প্রয়োজন জানেন।
যখন মনে হবে তুমি একা, তখন কুরআনের এই আয়াত মনে করো: ‘আমি তোমার সাথে আছি।’ আল্লাহর সঙ্গই জীবনের সবচেয়ে বড় সান্ত্বনা।
তুমি যত পাপ করো না কেন, আল্লাহর রহমত তোমার পাপের চেয়ে অনেক বড়। তাই তাওবা করো, এবং নতুনভাবে শুরু করো।
দুনিয়ার কষ্টগুলো হয়তো তোমাকে ক্লান্ত করে ফেলছে, কিন্তু মনে রেখো, জান্নাতের শান্তি এর চেয়ে অসীম গুণ বেশি। ধৈর্য ধরো, জান্নাত তোমার অপেক্ষায় আছে।
যখন তোমার দোয়া কবুল হতে দেরি হয়, তখন মনে রেখো — আল্লাহ তোমার জন্য আরও ভালো কিছু বেছে রাখছেন, অথবা তোমাকে আরও সুন্দর সময়ের জন্য প্রস্তুত করছেন।
মানুষ তোমাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে, কিন্তু আল্লাহ কখনো তোমাকে ছেড়ে যান না। তুমি যদি তাঁর দিকে এক কদম যাও, তিনি তোমার দিকে দশ কদম আসবেন।

আল্লাহর দেওয়া পরীক্ষা কখনো তোমাকে ধ্বংস করার জন্য নয়, বরং তোমাকে গড়ে তোলার জন্য। প্রতিটি কষ্টের মধ্যে লুকানো থাকে তাঁর রহমতের বার্তা।
যখন দুনিয়া তোমাকে ক্লান্ত করে দেয়, তখন নামাজের সিজদায় মাথা রাখো। সিজদার সেই মুহূর্তেই তুমি শান্তি পাবে।
কষ্টে থেকেও যারা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে, তারাই আসল বিজয়ী। কারণ তারা জানে, দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু জান্নাত চিরস্থায়ী।